শেয়ার বাজারের হালচাল
০৩ ডিসেম্বর — ০৯ ডিসেম্বর | সাল ২০২৩

৯ ডিসেম্বর ২০২৩

Upward moving Stock chart

সর্বকালের সেরা উচ্চতায় সেনসেক্স-নিফটি, গতকাল বাজারে গতি দেখাল কারা, এবার কি তবে পতন শুরু?

বেড়েই চলেছে শেয়ার বাজারের (Stock Market) গতি। শুক্রবারও সবুজে বন্ধ হল সেনসেক্স (Sensex)-নিফটি (Nifty)। স্মল ক্যাপ (Small Cap), ব্যাঙ্কিং (Banking), আইটি স্টকগুলিতে (IT Stocks) কেনাকাটার জেরে দ্রুত দৌড়েছে বুলরা। সোমবার থেকেই কি ফের পতনের আশঙ্কা শেয়ার বাজারে ?

সেনসেক্স-নিফটি নতুন শীর্ষে
NSE এর প্রধান সূচক নিফটি ৫০ এই বছর প্রথমবার ২০ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছিল, এবং এখন এটি ২১ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। এই বছর এখনও পর্যন্ত নিফটি ১৫ শতাংশের বেশি শক্তিশালী হয়েছে। বিএসই সেনসেক্স এই পর্যন্ত ১৪.১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকালের ট্রেডিং শেষে BSE সেনসেক্স 304 পয়েন্টের লাফ দিয়ে ৬৯,৮২৫ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে , যেখানে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (NSE) নিফটি ৬৯ পয়েন্টের লাফ দিয়ে ২০,৯৭০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। স্মলক্যাপ এবং মিডক্যাপ গুলি দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

গতকাল বাজারের শেষে কোন সেক্টরের কী অবস্থা ?
গতকালের লেনদেনে ব্যাঙ্কিং খাতের শেয়ারে ব্যাপক লেনদেন দেখা গেছে। এর বাইরে আইটি, উপভোক্তা পণ্যের শেয়ারের দামও বেড়েছে। যেখানে অটো, ফার্মা, স্বাস্থ্যপরিষেবা, তেল ও গ্যাস, এনার্জি, মেটাল, এফএমসিজি খাতের শেয়ারে বিক্রি দেখা গেছে। গতকালের ট্রেডিং সেশনে মিড ক্যাপ এবং স্মল ক্যাপের দুটি সূচকই লাল হয়ে বন্ধ হয়েছে। সেনসেক্সের 30টি স্টকের মধ্যে ২০ টি লাভের সাথে এবং ১০ টি লোকসানের সাথে বন্ধ হয়েছে। যেখানে নিফটির ৫০ টি স্টকের মধ্যে ২৪ টি বৃদ্ধির সাথে এবং ২৬ টি পতনের সাথে বন্ধ হয়েছে।

মার্কেট ক্যাপে পতন
সবুজে বাজার বন্ধ হলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইনভেস্টমেন্টের বাজারমূল্য কমেছে। গতকালের বাণিজ্যে BSE মার্কেট ক্যাপ ছিল ৩৪৯.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা যা তার আগের সেশনে ৩৫০.১৭ লক্ষ কোটি টাকা ছিল। গতকালের বাণিজ্যে মার্কেট ক্যাপ ৮১,০০০ কোটি টাকা কমেছে।

ক্রমবর্ধমান এবং পতনশীল শেয়ার
গতকালের ট্রেডিংয়ে HCL Tech (nse: hcltech) ২.৬৯ শতাংশ, JSW Steel (nse: jswsteel) ২.৪৪ শতাংশ, Infosys (nse: infy) ১.৬৭ শতাংশ, HDFC Bank (nse: hdfcbank) ১.৩৮ শতাংশ, Titan Company (nse: titan) ১.৩৭ শতাংশ, Axis Bank (nse: axisbank) ১.১৭ শতাংশ বেড়েছে। আইটিসি (nse: itc) ১.৯৫ শতাংশ পতনের সাথে বন্ধ হয়েছে।

ব্যাঙ্ক নিফটির নতুন রেকর্ড
শুক্রবারের লেনদেনের সময় ব্যাঙ্ক নিফটি ৪৭,১৭০ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। এই সপ্তাহে ব্যাঙ্ক নিফটি ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এটি জুলাই ২০২২ এর পরে ব্যাঙ্ক নিফটির সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক বৃদ্ধি। ট্রেডিং শেষ হওয়ার পরে নিফটি ২১ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি বন্ধ হয়েছে। এক সময় নিফটিও ২১ হাজার পয়েন্টের স্তর অতিক্রম করেছিল।

চলতি বছরে মিউচুয়াল ফান্ড দিয়েছে ৫২ শতাংশ রিটার্ন
মিউচুয়াল ফান্ডগুলিও স্বাভাবিকভাবেই শেয়ারবাজারের এই চমত্‍কার পারফরম্যান্স থেকে উপকৃত হয়েছে। স্টকের বিভিন্ন বিভাগ যেমন সঞ্চালিত হয়েছে, বরাদ্দের ক্ষেত্রে ফান্ড হাউসের বিভিন্ন স্কিমের কর্মক্ষমতাও একই ছিল। আমরা যদি ২০২৩ সালের দিকে তাকাই, অক্টোবর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম ৫২ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন দিয়েছে।

Reserve Bank Of India: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) নতুন সিদ্ধান্তে এবার লাভবান হতে পারেন আপনি। বাড়ি-ফ্ল্যাট কেনার এটাই হতে পারে ভাল সময়। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটারি কমিটির বৈঠকে(RBI Monetary Policy Meet) শেষে এমনটাই বলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।

৮ ডিসেম্বর ২০২৩

ফাটাফাটি বুধবারের পর বৃহস্পতিবারে দুর্বল শুরু শেয়ার মার্কেটের

গত কয়েকদিন ধরে শেয়ার বাজারে দুর্দান্ত সময় কেটেছে বিনিয়োগকারীদের। তবে বৃহস্পতিবার কিছুটা দুর্বলভাবে যাত্রা শুরু করেছিল সেনসেক্স (sensex) এবং নিফটি (nifty)। গত কয়েকদিনের উত্থানের পরে সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে কিছুটা পড়ল সেনসেক্স। সামান্য পড়েছে নিফটিও। বাজার বন্ধ হবার পর ২০,৯০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে নিফটি। অন্যদিকে বাঙ্কনিফটি (banknifty) শুরুর দিকে কিছুটা পতন হলেও বাজার বন্ধ হবার পর ৪৬৮৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার বাজার বন্ধের সময় বিএসইতে সেনসেক্স ঠেকেছিল ৬৯,৬৫৩.৭৩ পয়েন্টে। অর্থাত্‍ সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে ০.৫২ শতাংশ বা ৩৫৭.৫৯ পয়েন্ট বেড়েছিল সেনসেক্স। একটা সময় তো ৬৯,৭৪৪.৬২ পয়েন্টে পৌঁছেছিল সেনসেক্স। আর ০.৪ শতাংশ বা ৮২.৬ পয়েন্ট উত্থানের ফলে নিফটি ২০,৯৩৭.৭ পয়েন্টে শেষ করেছিল বুধবার।

Paytm (nse: paytm): একদিনেই বড়সড় পতন পেটিএমের শেয়ারে, নেপথ্যে কী কারণ?

একদিনেই দাম কমেছে প্রায় ১৫২ টাকা। বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের পর One 97 Communications Ltd-এর শেয়ার প্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬৬০ টাকা ৭০ পয়সা। প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে দাম। তাতেই কপালে ভাঁজ বিনিয়োগকারীদের।

Paytm-এর মূল সংস্থা One 97 Communications Limited-এর স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্তির পর এটাই একদিনে সবথেকে বড় পতন বলে মনে করা হচ্ছে।

আচমকা এই পতন কেন Paytm-এর শেয়ারে?

সূত্রের খবর, সংস্থার পক্ষ থেকে বর্তমানে ছোট আকারের ঋণ দেওয়ার পরিমণা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পে লেটারের মধ্যমে যে ঋণ দেওয়া হতো তার পরিমাণ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও Paytm ঘোষণা করেছে আগামীতে বড় মাত্রার ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়ার দিকেই তারা বেশি জোর দেবে। তাঁদের এ ঘোষণার পরই শেয়ারের দরে ধস নেমেছে বলে মত বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

প্রসঙ্গত, ইউপিআই পেমেন্ট থেকে বিল পেমেন্টস, লোন, টিকিট কাটার মতো বিবিধ পরিষেবা মেলে পেটিএমে। এমনকী যখন দেশে ফোন পে বা গুগল পে এর মতো অ্যাপগুলির দাপট বাড়েনি তখন লোকের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরত পেটিএম।

সম্প্রতি পেটিএমের তরফে পেমেন্ট ব্যাঙ্কও বাজারে আনা হয়েছিল। জোর দেওয়া হয়েছিল অল্প টাকার লোনের দিকে।

বর্তমানে দেশে ৫০ হাজারের নিচের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে আম-আদমির মধ্যে। বাজারে আসছে নিত্য-নতুন অনেক অ্যাপই। তাতেই অল্প টাকার ব্যক্তিগত ঋণের দিকে ঝুঁকছেন সাধারণ মানুষ। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

৭ ডিসেম্বর ২০২৩

শেয়ার বাজারে হৈচৈ, হাজার কোটি টাকার সাংঘি ইন্ডাস্ট্রিজের ওম্বূজা সিমেন্ট (nse: ambujacem) কোম্পানির অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ করলো আদানি গ্রুপ। ওম্বূজা সিমেন্ট গতকাল ট্রেডিং সেশনে প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৯.৯০ টাকায় বন্ধ হয়েছে। এটি অফার মূল্যের চেয়ে ৬.৫ শতাংশ বেশি।

আদানি গ্রুপ, একটি পৃথক বিবৃতিতে বলেছে যে এটি ৫,১৮৫ কোটি টাকার এন্টারপ্রাইজ মূল্যে সাংঘি ইন্ডাস্ট্রিজের অধিগ্রহণ (Sanghi Industries Takeover) সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। প্রসঙ্গত সাংঘি ইন্ডাস্ট্রিজ পশ্চিম ভারতের একটি বড় সিমেন্ট উৎপাদনকারী সংস্থা।

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের পর আদানি গোষ্ঠী এটি একটি বড় চুক্তি করেছে। আল্ট্রাটেকের (nse: ultrcemco) পরে অম্বুজা দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্ট প্রস্তুতকারক। আদানি গ্রুপ গত বছরের সেপ্টেম্বরে অম্বুজা সিমেন্ট এবং তার সহযোগী এসিসি লিমিটেডের (nse: acc) একটি বড় অংশ নিয়ে সিমেন্ট খাতে প্রবেশ করেছিল।

টানা তৃতীয় দিনে রেকর্ড উচ্চতায় পৌছালো সেনসেক্স-নিফটি, ৩ দিনে বিএসই-তে জুড়ল ১১.৫০ লক্ষ কোটি। বাজারে সবচেয়ে বেশি ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে আইটি, এনার্জি ও এফএমসিজির শেয়ারে। এই সব ক্ষেত্রের শেয়ারের দাম আবারও ঐতিহাসিক উচ্চতায় বন্ধ হয়েছে।

বুধবারের ট্রেডিং শেষে, বিএসই সেনসেক্স (sensex) ৩৫৮ পয়েন্টের লাফ দিয়ে ৬৯,৬৫৪ পয়েন্টে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফটি ফিফটি (nifty 50) ৮২ পয়েন্টের লাফ দিয়ে ২০,৯৩৭ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে।

এ দিন আবারও মিড ক্যাপ ও স্মল ক্যাপ স্টকগুলিতে চমকপ্রদ উত্থান দেখা গেছে। সেনসেক্সের ৩০টি স্টকের মধ্যে ২০টি সবুজে এবং ১০টি লোকসানকে সঙ্গী করে বন্ধ হয়েছে। যেখানে নিফটির ৫০টি শেয়ারের মধ্যে ৩০টি শেয়ার লাভের মুখ দেখেছে এবং ২০টিতে লোকসান ধরা পড়েছে।

স্টক মার্কেট টানা তৃতীয় দিনে বাড়তে থাকায়, বিএসই-তে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির বাজার মূলধন ৩৪৯ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে। গত তিন দিনে মার্কেট ক্যাপ বেড়েছে ১১.৫০ লক্ষ কোটি টাকা। গতকালের কেনাবেচায় বিনিয়োগকারীদের সম্পদে ২.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর

বুধবার শেষ সময়ে উইপ্রো (nse: wipro) ২.৭০ শতাংশ, আইটিসি (nse: itc) ২.৩৬ শতাংশ, নেসলে (nse: nestleind) ১.৪৪ শতাংশ, টিসিএস (nse: tcs) ১.৪০ শতাংশ, লারসেন (nse: lt) ১.৩৫ শতাংশ, রিলায়েন্স (nse: reliance) ১.২৫ শতাংশ বৃদ্ধির মুখ দেখেছে। অন্য দিকে, এনটিপিসি (nse: ntpc) ১.৫৬ শতাংশ পতন দেখেছে। এ ছাড়াও আল্ট্রাটেক সিমেন্ট (nse: ultracemco) ১.৩৬ শতাংশ, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক (nse: icicibank) ১.০৬ শতাংশ পতনের সঙ্গে বন্ধ হয়েছে।

৬ ডিসেম্বর ২০২৩

তিন রাজ্যে বিজেপির বিপুল জয়ে উৎসাহিত ভারতীয় শেয়ার বাজার! সোমবার সকালে সর্বকালীন রেকর্ডের পর মঙ্গলবার আবার উত্থান ঘটল সেনসেক্সে (Sensex)। মঙ্গলবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে সেনসেক্স ১৩৭ পয়েন্ট বেড়েছে। নিফটি ৫০ ও বাঙ্কনিফটি ছুটেছে রকেটের গতিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির (BJP) জয়ের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে। ফলে নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়ছে।

শিল্পপতি গৌতম আদানির গোষ্ঠী বরাবরই তাদের বিরুদ্ধে শেয়ারের দামে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। যদিও এই সমস্ত অভিযোগের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-সহ বিভিন্ন সংস্থা এখনও তদন্ত চালাচ্ছে। তবে বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত মেলায় লগ্নিকারীদের মধ্যে আদানি গোষ্ঠী-সহ বিভিন্ন প্রথম সারির সংস্থার শেয়ারের চাহিদা বেড়েছে।

গত মঙ্গলবার আদানি গোষ্ঠীর মূল সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের শেয়ার দর ১৭.৪৯% মাথা তুলেছে। তবে শতাংশের নিরিখে বেশি উত্থান হয়েছে আদানি গ্রিন এনার্জির (২২.১২)। উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজ়েড (১৫.০৯%), আদানি পাওয়ার (১৬.১১%), আদানি এনার্জি সলিউশনস (১৯.৮২%), আদানি টোটাল গ্যাস (২০.১২%) এবং আদানি উইলমারের (৯.৪২%) শেয়ারের। এর পাশাপাশি এগিয়েছে এসিসি (৭.৮৪%) অম্বুজা সিমেন্টস (৭.৫৪%)। গত এক সপ্তাহ ধরেই অবশ্য আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন শেয়ার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল।

৫ ডিসেম্বর ২০২৩

সোমে লক্ষ্মীলাভ বিনিয়োগকারীদের! হুহু করে বেড়েছে সেনসেক্স ও নিফটি, নতুন ইতিহাস গড়ল ভারতীয় শেয়ার বাজার।

রবিবার চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। যা ওলট-পালট করে দিয়েছে অনেক রাজনৈতিক সমীকরণ। তিন রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগড়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। আর সোমবার সেই প্রভাব পড়ল শেয়ার বাজারে। সেনসেক্স পৌছোলো সর্বকালীন রেকর্ড উচ্চতায়। নিফটি ও সেনসেক্স দুইই ২ শতাংশ করে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাম্প্রতিক অতীতে বিরল ঘটনা। সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ল নিফটি ৫০। একদিনে ৬ লক্ষ কোটির লাভ পেলেন বিনিয়োগকারীরা।

এদিন সেনসেক্স SENSEX বেড়েছে ১ হাজার ৩৮৪ পয়েন্ট। যার ফলে নতুন করে সেনসেক্স দাঁড়াল ৬৮,৮৬৫-তে। অন্যদিকে নিফটি পয়েন্টও বেড়েছে। বাজার বন্ধের সময় নিফটি NIFTY পৌঁছেছে ২০ হাজার ৬৮৭ পয়েন্টে।

সবচেয়ে বেশি নিফটি পয়েন্ট লাভ করেছে ইচারস মোটরস (nse: eichermot)। এছাড়াও এদিনে লাভবান হয়েছে আদানি গোষ্ঠী। বিপিসিএল (nse: bpcl), আইসিআইসিআই (nse: icicibank) ব্যাঙ্কের শেয়ারও বেড়েছে অনেকটাই। অন্যদিকে, টাটা মোটরস (nse: tatamotors) ও উইপ্রোর (nse: wipro) শেয়ার এদিন সামান্য ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে।

এদিন শেয়ার বাজারে দাপট দেখিয়েছে আদানি গ্রুপের শেয়ারগুলো। আদানি গ্রুপের সবকটি স্টক সবুজ জোনে বন্ধ হয়েছে। প্রতিটি স্টক থেকেই মোটা রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আদানি এনার্জি সলিউশনস (nse: adaniensol) বেড়েছে ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে, আদানি পাওয়ার (nse: adanipower) এবং আদানি গ্রিন এনার্জি (nse: adanigreen) ১২ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

৪ ডিসেম্বর ২০২৩

FLAIR WRITING IPO

IPO Listing: টাটা টেকনোলজিস, গান্ধার অয়েল, IREDA -এর পর এবার বিনিয়োগকারীদের দুর্দান্ত রিটার্ন প্রদান করল Flair Writing -এর আইপিও। শুক্রবার থেকে এই সংস্থা বাজারে পথচলা শুরু করল। শুক্রবার ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারটি ৫০১ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়েছে। সংস্থার আইপিও-র ইস্যু প্রাইস ছিল ৩০৪ টাকা। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৬৪.৮ শতাংশ প্রিমিয়াম পেয়েছেন।

ফ্লেয়ার রাইটিং-এর আইপিও প্রায় ৪৬.৬ গুণ সাবস্ক্রিপশন হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে দুর্দান্ত সাড়া পাওয়ায় এই সংস্থার তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় প্রিমিয়ামের অনুমান করেছিলেন বিশ্লেষকরা। সামগ্রিকভাবে ফ্লেয়ার রাইটিং পেনের বিভাগের শীর্ষ তিন সংস্থার মধ্যে একটি। ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ভারতে সামগ্রিকভাবে পেন এবং সৃজনশীল যন্ত্রের শিল্পে এই কোম্পানির কাছে বাজারগত শেয়ার ছিল ৯ শতাংশ।

কোম্পানিটি পেন, স্টেশনারি পণ্য, ক্যালকুলেটর-সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে। বাড়ির নিত্যপ্রয়োজনীয় একাধিক পণ্য এবং স্টিলের বোতলও তৈরি করে এই সংস্থা।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন “ফ্লেয়ার রাইটিংয়ের পণ্যগুলি তাদের গুণমান এবং ব্র্যান্ডের খ্যাতির জন্য পরিচিত। এই সংস্থার ভারত এবং আন্তর্জাতিক বাজারে গ্রাহক রয়েছে। দেশ জুড়ে গ্রাহকদের কাছে কোম্পানিটির পণ্য জনপ্রিয়।” ২০২১-২২ সালে এই কোম্পানির অপারেটিং এবং নেট আয়ের মার্জিন ছিল সর্বোচ্চ। এটি ছিল যথাক্রমে ১৭.৮ এবং ৯.৬ শতাংশ।

Hindustan Aeronautics Limited HAL Share Price Movement

শেয়ার বাজারে দাপট দেখাচ্ছে প্রতিরক্ষা খাতের স্টক হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (nse: hal)! গত সপ্তাহের শেষে বিনিয়োগকারীদের দারুণ রিটার্ন দিয়েছে এই কোম্পানির স্টক। এই শেয়ারটি বর্তমানে ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছে গিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে হেলিকপ্টারের বরাত পেতেই হু হু করে বেড়েছে শেয়ারের দাম। শুক্রবার এই শেয়ারের দাম ৫ শতাংশ বেড়ে ২৪৯৯ টাকায় পৌঁছেছে।

শেয়ারের এই দাম বৃদ্ধির পিছনে দুটি কারণ রয়েছে বলেই মনে করছেন শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞরা। আসলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ডিফেন্স অ্যাকুইজেশন কমিটির তরফে ২.২৩ লাখ কোটি টাকার হেলিকপ্টার ও তেজস যুদ্ধবিমান কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কেনাকাটা করা হবে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড থেকে।

একটি রিপোর্ট অনুসারে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা HAL দেশে তেজস ও হেলিকপ্টার সরবরাহ করে। এছাড়াও, ফিলিপাইন সরকার HAL থেকে ১২ থেকে ১৫ টি হালকা উন্নত হেলিকপ্টার কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। এই চুক্তি ফাইনাল হলে তার অঙ্ক হতে পারে ২২০০ কোটি থেকে ২৫০০ কোটি টাকা।

শুক্রবার হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের শেয়ারের দাম ৩.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে বিএসইতে ২৪৬২.১৫ টাকায় বন্ধ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে খবরের জেরে স্টকটি উপরের দিকেই পারফর্ম করবে। সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার বাজারে এই স্টকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স রয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৭০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এমনকি শেষ এক সপ্তাহের বিচার করলে দেখা যাবে, কোম্পানির স্টক ১৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে। শেষ এক মাসের বিচারে শেয়ারের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। শেষ ৬ মাসের বিচারে স্টকটি প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

পরিচিতদের সাথে এটি শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব
শেয়ার বাজার সংক্রান্ত নিয়মিত তথ্য পেতে আপনার ই-মেলটি আমাদের সাথে তালিকাভুক্ত করুন

You cannot copy content of this page