শেয়ার বাজারের হালচাল
১০ ডিসেম্বর — ১৬ ডিসেম্বর | সাল ২০২৩

১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

71 হাজারে বিএসই সেনসেক্স, শেয়ার বাজারে রেকর্ডের সৌজন্য়ে লাভ ইক্যুইটি বিনিয়োগকারীদের।

বিএসই সেনসেক্স প্রথমবার পৌঁছালো 71 হাজারে । শুক্রবার সকালে শেয়ার বাজার খোলার কিছুক্ষণের মধ্যে 71 হাজারে পৌঁছয় বিএসই সেনসেক্স ।
এর ফলে ইক্যুইটি বিনিয়োগকারীরা 2 লাখ কোটি টাকার বেশি লাভ করেছেন ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ তার মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে । পরের বছর সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে । পাশাপাশি বিদেশি তহবিল প্রবাহ (ইন-ফ্লো) বজায় রাখার কথা বলেছে । তার পরই বিশ্বের বাজারে আশাবাদী প্রবণতা তৈরি হয়েছে । সেই প্রভাব পড়ে ভারতের শেয়ার বাজারেও । যার ফলে তিনদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী বিএসই সেনসেক্স । এ দিন সকালের লেনদেনের সময় 30-শেয়ারের বিএসই সেনসেক্স 71,084.08 এ পৌঁছে সর্বকালের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছয় । এর জন্য বৃহস্পতিবার যেখানে বাজার বন্ধ হয়েছিল, সেখান থেকে 569.88 পয়েন্ট বাড়তেই এই রেকর্ড হয় ।

বিএসই তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির বাজার মূলধন (এমক্য়াপ) শুরুর দিকের লেনদেনে 357 লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স সোমবার প্রাথমিক লেনদেনে প্রথমবারের মতো 70 হাজারের স্তর অতিক্রম করে । সেই উচ্চতাকেও শুক্রবার ছাপিয়ে গেল বিএসই ।

এ দিন সেনসেক্স সংস্থাগুলির মধ্যে, ইনফোসিস, টেক মাহিন্দ্রা, এইচসিএল টেকনোলজিস (nse: HCLTECH), টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, উইপ্রো ও জেএসডব্লিউ স্টিল সকালের লেনদেনের সময় প্রধান লাভকারী সংস্থা। নেসলে, ভারতী এয়ারটেল (nse: BHARTIARTL), অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক আইটিসি পিছিয়ে ছিল । এশিয়ার বাজারের মধ্যে সিওল, টোকিও, সাংহাই ও হংকং লাভের সঙ্গে ব্যবসা করেছে । বৃহস্পতিবার মার্কিন বাজার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় শেষ হয়েছে । তাছাড়া জানা গিয়েছে, বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বৃহস্পতিবার 3,570.07 কোটি টাকার ইক্যুইটি কিনেছে ।

১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

NIFTY ALL TIME HIGH

শেয়ার বাজারে বিস্ফোরণ! লক্ষ্মীবারে ৭০ হাজারের উপরে সেনসেক্স, ঐতিহাসিক উচ্চতায় নিফটি

বৃহস্পতিবার ভারতীয় শেয়ার বাজারে আরও এক নতুন রেকর্ড। এ দিন সর্বকালীন সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠে গেল শেয়ার বাজারের অন্যতম সূচক সেনসেক্স। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার স্থিতিশীল রাখার সিদ্ধান্তের কারণে বুধবার মার্কিন বাজার রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাব ভারতীয় স্টক মার্কেটগুলিতেও দেখা যাচ্ছে এ দিন।
সেনসেক্স ছাড়াও নিফটি ফিফটি, ব্যাঙ্ক নিফটি এবং মিডক্যাপ সূচকগুলিও সর্বকালীন উচ্চ স্তরে খুলেছে। অভ্যন্তরীণ বাজার খোলার সময়, বিএসই সেনসেক্স ৫৬১.৪৯ পয়েন্ট বা ০.৮১ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে ১০,১৪৬-এ খোলে। যেখানে এনএসই নিফটি ১৮৪.০৫ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশের বৃদ্ধি সঙ্গী করে বাজারে মুখ দেখায়। কেনাবেচার একটি সময় যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে সেনসেক্স পৌঁছে যায় ৭০,৫৪০-এ। অন্য দিকে, নিফটি গিয়ে ঠেকে ২১,১৮৯-এ। যা শেয়ার বাজারের ইতিহাসে এক-একটি মাইলস্টোন।

বাজার খোলার পর ব্যাঙ্ক নিফটি ৬২৬.৩০ পয়েন্ট বা ১.৩৩ শতাংশ বেড়ে ৪৬,৭১৮-র স্তরে পৌঁছে যায়। কেনাবেচার একটি সময় যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে ব্যাঙ্ক নিফটিও পৌঁছে যায় ৪৭,০৯২-এ। ব্যাঙ্ক নিফটির ১২টি স্টকই উপরে উঠে লেনদেন করে এবং এর মধ্যে বন্ধন ব্যাঙ্ক সবচেয়ে লাভকারী তালিকায় শীর্ষে।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, বাজার খোলার পরপরই, নিফটির ৫০টির মধ্যে প্রত্যেকটি স্টকই এ দিন বেড়েছে। শীর্ষ লাভকারীদের মধ্যে, এইচসিএল টেক ২.৭৪ শতাংশ বেড়েছে এবং টেক মাহিন্দ্রা ২.৪৫ শতাংশ বেড়েছে। ইনফোসিস ১.৯৩ শতাংশ এবং উইপ্রো ১.৮৯ শতাংশের বৃদ্ধি দেখেছে।

সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই এ ভাবেই একের পর এক ধাপ অতিক্রম করছে ভারতীয় শেয়ার বাজার। এ দিন সকাল থেকেই প্রায় সমস্ত স্টকেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছে। এ দিন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ৩ শতাংশ পর্যন্ত লম্বা লাফ দিতে পারে এই সেক্টর। বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে আইটি সূচক ২ শতাংশ বেড়ে ৩৩৭১৩-এ লেনদেন করে।

১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

EPF

বিগত আর্থিক বছরেই গ্রাহকদের ৫৩০০০ কোটি টাকা লগ্নি শেয়ার বাজারে, রিপোর্ট পেশ।

প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) গ্রাহকদের টাকা দেদার খাটছে শেয়ার বাজারে। ২০১৬-১৭ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ। এই সাত বছরে লাগাতার বৃদ্ধি পেয়েছে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ)পিএফের টাকা বিনিয়োগের পরিমাণ। শুধুমাত্র ২০২২-২৩ আর্থিক বছরেই ইপিএফওতে সঞ্চিত প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেছে মোদি সরকার।
লোকসভায় লিখিতভাবে এহেন তথ্য প্রকাশ করেছে শ্রমমন্ত্রক। কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে তাঁদের সঞ্চিত অর্থ কতটা সুরক্ষিত রয়েছে, সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ইপিএফ গ্রাহকদের একাংশ।

ইপিএফওর অর্থ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা নিয়ে লোকসভায় শ্রমমন্ত্রকককে লিখিতভাবে প্রশ্ন করেছিলেন ডিএমকে সাংসদ T Sumathy। তারই লিখিত জবাবে শ্রমমন্ত্রকের কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেবে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) সংগ্রহে রয়েছে মোট ১৮.৩০ লক্ষ কোটি টাকা। এর ৮.৭০ শতাংশ শেয়ার বাজার, অর্থাত্‍ এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিগত সাত বছরের যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন শ্রমমন্ত্রকের কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। তা বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে হয়েছে আনুমানিক ৫৩ হাজার ৮১ কোটি টাকা।

এবং ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে গত অক্টোবর পর্যন্তই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। এআইটিইউসির সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতা তথা ইপিএফও পরিষদের সদস্য সুকুমার দামলে বলেন, আমরা চাই, দেশের গরিব শ্রমিক-কর্মচারীদের কষ্টার্জিত অর্থ যেন সুরক্ষিত থাকে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে সরাসরি গ্রাহকদের পেনশন প্রাপ্তির উপর প্রকোপের আশঙ্কা থাকে। ইপিএফওর টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের বিরুদ্ধে শ্রমিক সংগঠনগুলি আগেও প্রতিবাদে শামিল হয়েছে। যদিও উল্লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, গ্রাহকদের টাকা সুরক্ষিতই আছে। কারণ মন্ত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ইনভেস্টমেন্ট প্যাটার্ন অনুসারেই ইপিএফও শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করে।

2023_Game changing year for Indian Stock Market

গত সপ্তাহে এক স্বপ্নের দৌড় দেখল ভারতীয় শেয়ার বাজার। চলল একের পর এক রেকর্ড ভাঙাগড়া।

আগে কিছু আশঙ্কা থাকলেও তিন রাজ্যে বিজেপির বিপুল জয়ে দেশের দুই শেয়ার বাজার উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠল। গত রবিবার (৩ ডিসেম্বর) নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে সোমবার সকাল থেকেই বাজার চড়তে থাকে। দিনের শেষে সেনসেক্স ১৩৮৪ পয়েন্ট বেড়ে পৌঁছয় ৬৮,৮৬৫ অঙ্কে।তৈরি করে নতুন নজির। ভোটের ফল বাজারকে এতটাই শক্তি জোগায় যে, পরের দু’দিনও সেনসেক্স ওঠে যথাক্রমে ৪৩১ এবং ৩৫৮ পয়েন্ট। ফলে সূচক পৌঁছে যায় আরও উঁচু শিখরে। বৃহস্পতিবার ১৩২ পয়েন্ট নামলেও শুক্রবার ফের ৩০৪ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স পৌঁছয় ৬৯,৮২৬ অঙ্কে। যা সর্বকালীন রেকর্ড। সপ্তাহ শেষে নিফ্‌টিও প্রথম বার পৌঁছয় ২০,৯৬৯ পয়েন্টে। সে দিন লেনদেনের মধ্যবর্তী সময়ে এক বার ২১ হাজারও ছুঁয়েছিল সূচকটি।

তিন রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলের প্রভাবে গত সপ্তাহে বাজার তেড়েফুঁড়ে উঠলেও আর্থিক পরিসংখ্যানের দিক থেকে দেখলে, এই উত্থানের জমি কিন্তু তৈরি ছিল আগে থেকেই। বস্তুত, গত ১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহের চারটি কাজের দিনে সেনসেক্স টানা উঠেছিল মোট ১৫১১ পয়েন্ট। শিল্প, ব্যবসা, বিদেশি লগ্নি, জিএসটি সংগ্রহ-সহ নানা ভাল খবরে তেতে উঠেছিল বাজার। বিধানসভা নির্বাচনের ফল তাতে আরও জ্বালানি জুগিয়েছে। আগামী বছরের লোকসভা ভোটের আগে যা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতারই ইঙ্গিত বলে ধরে নিয়েছে বাজার মহল।

সূচকের এই উত্থানে শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের লগ্নিকারীরা খুশি। তাঁদের লগ্নিকৃত পুঁজি আচমকাই ভাল বেড়েছে। এখন প্রশ্ন, বাজার কি এই উত্থান ধরে রাখতে পারবে? কিছুটা ধন্দে লগ্নিকারীরা। তাঁদের জিজ্ঞাসা, চড়া দামের সুযোগে এখনই মুনাফা তোলা উচিত, নাকি আরও কিছুটা অপেক্ষা করা যেতে পারে? আবার নতুন লগ্নিকারীদের প্রশ্ন, এত উঁচু বাজারে লগ্নি করা কি উচিত হবে? এই পরিস্থিতির জল মাপা দরকার আর্থিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে।

আর্থিক দিক থেকে ভারত এখন শক্তিশালী ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে। খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে কৃষি উত্‍পাদন কিছুটা ব্যাহত হলেও দেশে শিল্পের অবস্থা এবং পণ্যের চাহিদা এখন বেশ ভাল। নগদের জোগানে ঘাটতি নেই। বাড়ি-গাড়ির চাহিদা এবং তার ফলে বিভিন্ন অনুসারী শিল্পেও চাহিদা তুঙ্গে। জিএসটি সংগ্রহ বৃদ্ধিও ব্যবসায় ইতিবাচক পরিস্থিতির ইঙ্গিত। মূল্যায়ন সংস্থাগুলি চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়াতে শুরু করেছে। উল্টো দিকে চিনের বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমছে। সব দেখে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতে ফের পুঁজি ঢালতে শুরু করেছে। এ মাসে এখন পর্যন্ত ২৬,৫০৫ কোটি টাকা ঢেলেছে তারা। পাশাপাশি, এই দফাতেও সুদ বৃদ্ধি থেকে বিরত থেকেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। শিল্পের পক্ষে যা বড় স্বস্তির কারণ। আবার সৌদি আরব তেলের উত্‍পাদন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়েনি, বরং অনেকটা নেমে এসেছে। সপ্তাহ শেষে ব্যারেল পিছু পণ্যটির দাম ছিল ৭৫.৯৫ ডলারের আশপাশে। যা ভারতের মতো তেল আমদানিকারী দেশের কাছে সুখবর। অর্থাত্‍, আর্থিক দিক থেকে বাজারের ধাক্কা খাওয়ার তেমন কারণ অন্তত এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।

অর্থনীতির এই শক্ত ভিতের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত। এই আবহ আপাতত থাকবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। একাংশের মতে, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে। ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি অবশ্য বলেছেন, সেখানে চোখ ধাঁধানো কোনও ঘোষণা থাকবে না। যদিও ২০১৯ সালের ব্যয়মঞ্জুরিতে একাধিক জনমোহিনী প্রকল্প ঘোষণা করেছিল সরকার। ফলে এ বারেও তাকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্র মানুষের কাছে ছোটখাটো সুবিধা পৌঁছনোর চেষ্টা করতে পারে। আর এই আবহের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে অর্থবর্ষের বাকি কয়েক মাস বাজার চাঙ্গা থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

তবে মাত্র দু’সপ্তাহে সেনসেক্স ৩৮৫৬ পয়েন্ট ওঠার কারণে আগামী কয়েক দিন একটি ছোট থেকে মাঝারি সংশোধনের সম্ভাবনাও থাকছে।

১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে কী অবস্থায় শেয়ার বাজার?

সপ্তাহের প্রথম দিনে নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছিল ভারতীয় স্টক মার্কেট (Indian Stock Market)।সোমবার ৭০০০০-এর স্তর পেরিয়েছিল সেনসেক্স (BSE Sensex), ২১০০০ স্তর পেরিয়েছিল নিফটি (Nifty 50)। তবে সামান্য উপরে উঠে নিফটি শেষ করেছিল ২০৯৯৭ স্তরে। ১০২ পয়েন্ট উপরে উঠে সেনসেক্স সোমবার শেষ করেছে ৬৯৯২৮ পয়েন্টে।

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনেও শেয়ার মার্কেটে বৃদ্ধি দেখা গেছে। মঙ্গলবার সকালে সেনসেক্স ৯৬.১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৭০০২৪.৬৮ পয়েন্টে পৌঁছেছে। নিফটি ৩৪.৪ পয়েন্ট বেড়ে ২১০৩১.৫০ পয়েন্টের রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছে।

ভারতীয় পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিভাগ১৩ দিনে ২১৮ শতাংশ বৃদ্ধি, IREDA-এর স্টক এখনই মাল্টিব্যাগার

১৫ দিনও হয়নি। তার মধ্যেই ইস্যু মূল্য (Issue Price) থেকে ২১৮ শতাংশ বৃদ্ধি দেখাল সরকারি NBFC কোম্পানি IREDA (nse: ireda)-এর IPO। গত 29 নভেম্বর বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল এই স্টক (Stock Price)। এরপর থেকেই এই দুরন্ত গতি।

২ দিনের ট্রেডিং সেশনে ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি,দেরি করে ফেললেন ?
পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি খাতের এই সরকারি NBFC কোম্পানি IREDA-এর আইপিও স্টক এক্সচেঞ্জে গত মাসে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

স্টকটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর মাত্র 11 দিনের ট্রেডিং সেশনে তার শেয়ারহোল্ডারদের 218 শতাংশ মাল্টিব্যাগার রিটার্ন দিয়েছে। দুই দিনের ট্রেডিং সেশনে স্টকটি 44 শতাংশ লাফিয়েছে। উভয় ট্রেডিং সেশনেই শেয়ারটি আপার সার্কিটে আঘাত করেছে। 32 টাকার ইস্যু মূল্য সহ স্টকটি 12 ডিসেম্বর, 2023 মঙ্গলবার 101.85 টাকায় বন্ধ হয়েছে।

তালিকাভুক্তির পর স্টক দ্বিগুণ হয়েছে
গত মাসে IREDA (Indian Renewable Energy Development Agency) এর IPO 21 থেকে 23 নভেম্বর, 2023 এর মধ্যে খুলেছিল । IPO বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে একটি শক্তিশালী সাড়া পেয়েছে। কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি 32 টাকা ইস্যু মূল্যে বাজার থেকে 2150.21 কোটি টাকা তুলেছিল। 29শে নভেম্বর, স্টক এক্সচেঞ্জে প্রায় 50 টাকায় তালিকাভুক্ত হওয়ার পর, IREDA-এর স্টক উপরের সার্কিট ছুঁয়ে 60 টাকায় বন্ধ হয়ে যায়। স্টকটি এখন 50 টাকার তালিকাভুক্ত মূল্য থেকে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। IREDA-এর মার্কেট ক্যাপ 27,415 কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

সরকারি কোম্পানির স্টক বৃদ্ধি
গত এক থেকে দেড় বছরে সরকারি খাতের কোম্পানিগুলিতে শক্তিশালী বৃদ্ধি দেখিয়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি প্রতিরক্ষা ও সরকারি ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম বেড়েছে। জ্বালানি খাতে আরইসি, পাওয়ার ফিন্যান্স, এনটিপিসি, এনএইচপিসি এবং এসজেভিএন-এর শেয়ারগুলি অসাধারণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

IREDA হল এমন একটি কোম্পানি, যারা রিনিউয়েবল খাতে কোম্পানিগুলোকে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করে। এদের ভবিষ্যত্‍ খুবই উজ্জ্বল বলে ধরা হচ্ছে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে আগামী বছরগুলোতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপরও জোর দিচ্ছে সরকার। এমতাবস্থায়, এক বছরে আরইসি পিএফসি-র স্টক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা এখন আইআরইডিএ-র স্টক নিয়ে বেশ বুলিশ।

কেন IREDA-তে এই গতি?
IREDA PM-KUSUM স্কিম, রুফটপ সোলার এবং অন্যান্য B2C সেক্টরে ঋণ প্রদানের জন্য একটি খুচরা বিভাগ তৈরি করেছে। IREDA এর খুচরা বিভাগ কুসুম-বি স্কিমের অধীনে 58 কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে, যার কারণে স্টক বেড়েছে। আইআরইডিএ চেয়ারম্যান এমডি প্রদীপ কুমার দাস রিটেল বিভাগ চালুর ঘোষণা দেন। IREDA তাদের নিয়ন্ত্রক ফাইলিংয়ে এই সিদ্ধান্তের তথ্য দিয়েছে।

১২ ডিসেম্বর ২০২৩

ওলা ইলেক্ট্রিকের আইপিও ২০২৪

শীঘ্রই আসছে ওলা ইলেকট্রিকের আইপিও,কী রয়েছে বড় আপডেট, বিনিয়োগে লাভ পাবেন ?

ওলা ইলেকট্রিক (OLA Electric) মোবিলিটির আইপিও (IPO) নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছে। নতুন করে এই আইপিওর বিষয়ে বড় আপডেট এসেছে। চলতি মাসেই ফাইল করা হতে পারে ওলা ইলেকট্রিকের আইপিওর ডিরেক্ট হেড হিয়ারিং প্রসপেক্টস (DRHP)। আগামী বছর বাজারে (Stock Market) আসতে পারে ওলা ইলেকট্রিকের আইপিও।

কত কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে কোম্পানি
এই আইপিওটি হবে নতুন ইক্যুইটি শেয়ারের পাশাপাশি অফার ফর সেল শেয়ারের সমন্বয়। চলতি বছর 2023 সালের অক্টোবরে এই কোম্পানি ইক্যুইটি এবং ঋণের মাধ্যমে 3200 কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

২০ বছর পর আসতে চলেছে কোনও গাড়ি প্রস্তুতকারকের আইপিও
ওলা ইলেক্ট্রিকের আইপিওর খবর নিয়ে সন্দেহের অবসান ঘটছে বলে মনে হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এর আইপিও 2024 সালের শুরুতে বাজারে প্রবেশ করবে। ভারতের এই নিয়ে কোনও অটোমোবাইল কোম্পানির এই আইপিও 20 বছরেরও পরে আসবে। এর আগে মারুতি সুজুকির (তখন মারুতি উদ্যোগ) আইপিও শেষবার ভারতীয় স্টক মার্কেটে প্রবেশ করেছিল 2003 সালে।

ওলা ইলেকট্রিকের আইপিওর আকার হবে এক বিলিয়ন ডলার
কোম্পানির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওলা ইলেকট্রিকের আইপিও হতে চলেছে 8500 কোটি টাকা বা 1 বিলিয়ন ডলার। এটি হবে দেশের কোনো বৈদ্যুতিক যানবাহন অটো প্রস্তুতকারকের প্রথম আইপিও। এই ইভি ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির আইপিও দেশের শীর্ষ 15টি আইপিওতে অন্তর্ভুক্ত হবে যার আকার 1 বিলিয়ন ডলার।

ওলা নিজেকে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বানিয়েছে
ইলেকট্রিক যানবাহন কোম্পানি ওলা ইলেকট্রিকও আইপিওর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে একটি বড় পরিবর্তন করেছে। পরিবর্তনের পর ওলা ইলেকট্রিক আর প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়, এখন নিজেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত করেছে। এর পর ওলা ইলেক্ট্রিকের অফিসিয়াল নামও বদলেছে। এর আগে কোম্পানির নাম ছিল ওলা ইলেকট্রিক মোবিলিটি প্রাইভেট লিমিটেড, যা পরিবর্তন করে ওলা ইলেকট্রিক মোবিলিটি লিমিটেড করা হয়েছে।

ওলা ইলেকট্রিক ব্যবসা
ওলা ইলেকট্রিক প্রধানত ইলেকট্রিক স্কুটারের ক্ষেত্রে কাজ করে এবং এটি পরের বছর ব্যাটারি চালিত গাড়ি নিয়ে ইলেকট্রিক প্যাসেঞ্জার কার সেগমেন্টে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সংবাদ_ সেন্সেক্স

ইতিহাস গড়ে প্রথমবার ৭০ হাজারের গণ্ডি ছাড়াল সেনসেক্স।

সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের দিনেই ইতিহাস গড়ল শেয়ারবাজার। সোমবার সকালে প্রথমবারের মতো ৭০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল সেনসেক্স (SENSEX)। যদিও বেলা গড়াতে খানিকটা নিম্নমুখী হয়ে ফের ৬৯ হাজারের ঘরে নেমে এসেছে। অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো সেনসেক্স ছুটে চলায় বিনিয়োগকারীদের মুখের হাসি চওড়া হয়েছে।

গত শুক্রবার বাজার বন্ধের সময়ে সেনসেক্স দাঁড়িয়েছিল ৬৯,৮২৫.৬০ সূচকে। এদিন সকালে আগের দিনের চেয়ে ১০০ বাড়তি পয়েন্ট নিয়ে সবুজ জোনে দাঁড়িয়েই লেনদেন শুরু হয় শেয়ারবাজারে। খানিকক্ষণের মধ্যেই প্রথমবারের মতো ৭০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে যায় সেনসেক্স। ৭০,০৫৭.৮৩ সূচকে পৌঁছে যায়।

পাশাপাশি নিফটিও (NIFTY) সেনসেক্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়তে থাকে। ২১ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়। মূলত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) রেপো রেট বা সুদের হার অপরিবর্তিত রাখাতেই বাজার চাঙ্গা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১১ দিনেই তিন হাজারের বেশি সূচক বেড়েছে সেনসেক্স। মূলত মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে বিজেপির চমকপ্রদ ফলাফল বিনিয়োগকারীদের অনেকটাই ভরসা জুগিয়েছে।

এদিন বাজারে ওএনজিসি, কোল ইন্ডিয়া, ইনডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, টেক মাহিন্দ্রা ও স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শেয়ার দর হু হু করে চড়তে থাকে। অন্যদিকে ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাবরেটরি, এশিয়ান পেন্টস, মারুতি সুজুকি, সিপলা এবং সান ফার্মার শেয়ার দরে পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। অর্থা‍ত্‍ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

১১ ডিসেম্বর ২০২৩

গ্রাহকদের জন্য Tata Motors-এর নয়া ঘোষণা, নতুন বছরেই বাড়তে চলেছে গাড়ির দাম

Tata Motors (nse: tatamotors) এখন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই অটোমোবাইল কোম্পানিটি সপ্তাহ শেষে গাড়ির দাম বাড়ানোর ঘোষণা করেছে। শেয়ারবাজারে পাঠানো তথ্যে কোম্পানিটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক গাড়ির দাম বাড়াতে যাচ্ছে কোম্পানিটি।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকারক
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসেও হুন্ডাইকে পেছনে ফেলেছিল টাটা মোটরস। নভেম্বরে, টাটা মোটরসের বাজার শেয়ার ছিল ১৩.৭৯% যেখানে হুন্ডাইয়ের বাজার শেয়ার ছিল ১৩.৬৩%।

টাটা মোটরস শেয়ার মূল্যের ইতিহাস
কোম্পানিটির শেয়ার এই সপ্তাহে ৭১৫ টাকায় বন্ধ হয়েছে। এই স্টকের সর্বকালের উচ্চ মূল্য হল ৭২৭ টাকা। এই স্টক এক মাসে ১১.২ শতাংশ, তিন মাসে ১৪ শতাংশ, ছয় মাসে ২৬ শতাংশ, চলতি বছর এ পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ এবং এক বছরে ৭১ শতাংশ বেড়েছে।আজ বাজার খুললে পাঠক এই স্টকের উপর নজর রাখতে পারেন।

দাম ৩% বাড়ানো হবে
BSE ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুসারে, দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক যানবাহন নির্মাতা Tata Motors ২০২৪ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক গাড়ির দাম বাড়াতে চলেছে। দাম ৩% বৃদ্ধি করা হবে। এর আগে ২৭ নভেম্বর, টাটা মোটরসের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন যে কম্পানী আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে যাত্রী এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। কোন গাড়ির দাম কত বাড়বে তা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে।


২০২৪ সালে কোন কোন স্টকে বিনিয়োগে মিলবে বড় লাভ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

বিস্তর ওঠানামা চলেছে বছরভর। কখনও একাধিক নামজাদা সংস্থার স্টকের দাম একেবারে খাদে নামতে দেখা গিয়েছে, আবার চড়চড়িয়ে বেড়েছে বহু বেনামি সংস্থার স্টক। আবার কখনও টানা বেশ কয়েক মাস লাগাতার ধস দেখা গিয়েছে দালাল স্ট্রিটে, আবার কখনও ঘুরেও দাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে হাসি-কান্না মিলিয়েই তেইশটা কেটেছে বিনিয়োগকারীদের।

কিন্তু, আর তো হাতে মাত্র ক’টা দিন। তারপরই নতুন বছর। কিন্তু, চব্বিশে নজর থাকবে কোন কোন শেয়ারে? এখন থেকেই ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন কিছু স্টকের কথা।

আইটি সেক্টর
ভারতের আইটি সেক্টর চাহিদা বেড়েছে বিশ্বব্যাপী। ২০২৪ সালেও এই সেক্টরটি ভাল পারফর্ম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সেক্টরের কিছু জনপ্রিয় স্টকের তালিকায় রয়েছে TCS, Infosys, Wipro, HCL Technologies, এবং Mindtree।

ফ্যাশন সেক্টর
ভারতের ফ্যাশন সেক্টরও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৪ সালেও এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সেক্টরের কিছু জনপ্রিয় স্টকের তালিকায় রয়েছে Arvind Fashions, Aditya Birla Fashion and Retail, Reliance Brands, এবং Future Retail।

ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সেক্টর
ভারতের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এই সেক্টরের কিছু জনপ্রিয় স্টকের তালিকায় রয়েছে Hindustan Unilever (nse: hindunilvr), Nestle India (nse: nestleind), ITC, এবং Britannia Industries।

ব্যাঙ্কিং সেক্টর
চলতি বছরেও ব্যাঙ্কিং সেক্টরের স্টকগুলি ভাল রিটার্ন দিয়েছে। ২০২৪ সালে ভাল পারফর্ম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সেক্টরের কিছু জনপ্রিয় স্টকের তালিকায় রয়েছে State Bank of India, ICICI Bank, HDFC Bank (nse: hdfcbank), এবং Axis Bank।

অটোমোবাইল সেক্টর
আগামী বছর বাজারে আসতে চলছে একাধিক সংস্থার নতুন, চমকদার সব গাড়ি। তালিকায় যেমন রয়েছে চারচাকা। তেমনই রয়েছে দু চাকাও। এই সেক্টরের কিছু জনপ্রিয় স্টকের তালিকায় রয়েছে Maruti Suzuki, Tata Motors, Hero MotoCorp, এবং Bajaj Auto।

এছাড়াও হেলথকেয়ার সেক্টরে বিনিয়োগও ভাল লাভের আশা করা যেতে পারে। এই সেক্টরের কিছু নামজাদা স্টকের তালিকায় আছে Apollo Hospitals, Fortis Healthcare, Max Healthcare, এবং Narayana Health। তালিকায় আছে ইলেকট্রনিক্স সেক্টরও। এটিও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সেক্টরের কিছু জনপ্রিয় স্টক Samsung India, LG Electronics, Panasonic India, এবং Havells India। অন্যদিকে ভারতের নির্মাণ শিল্পও বিগত কয়েক বছরে ধারেভারে অনেকটাই বেড়েছে। এই সেক্টরের কিছু জনপ্রিয় স্টকের তালিকায় আছে UltraTech Cement, ACC (nse: acc), Ambuja Cements (nse: ambujacem), এবং Dalmia Bharat Cements।

১০ ডিসেম্বর ২০২৩

আম আদমির জন্য সুখবর ! মিউচুয়াল ফান্ডে SIP করতে আর ৫০০ টাকা লাগবে না, বড় ঘোষণা করতে পারে সেবি।

শীঘ্রই বদলে যেতে পারে মাসে-মাসে (SIP) মিউচুয়াল ফান্ডে (Mutual Funds) বিনিয়োগের ন্যূনতম পরিমাণ। শীঘ্রই এই বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে শেয়ার বাজার (Stock Market) নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি (SEBI)।

কী ইঙ্গিত দিয়েছে সেবি?
বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্‍সাহ তৈরি করতে চায়। এই জন্য SEBI মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ন্যূনতম সীমা কমিয়ে 250 টাকা করতে চায়। যদি এটি ঘটে, তবে অতি সাধারণ বিনিয়োগকারীও প্রতি মাসে SIP (সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান) এর মাধ্যমে সহজেই তার বিনিয়োগ শুরু করতে পারবে। সম্প্রতি SEBI চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি বুচ একটি অনুষ্ঠানে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পের মূল্য এখন ৫০ ট্রিলিয়ন
সেবি প্রধান পুরীর এই বক্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পের মূল্য ৫০ ট্রিলিয়ন টাকা হয়ে গেছে। এদিন তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডে ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক ব্যক্তিকে আর্থিক বিনিয়োগ করতে উত্‍সাহিত করা হবে। এতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সেবি। এটি ভারতীয় ইকুইটি বাজারেরও বিকাশ ঘটাবে। তাই, SEBI মিউচুয়াল ফান্ড চালানো কোম্পানিগুলির সাথে 250 টাকার SIP এর সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

বর্তমানে এটি 500 টাকা থেকে শুরু হয়
বর্তমানে কিছু মিউচুয়াল ফান্ডে 100 টাকাও বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু, এটিতে এত কম বিকল্প রয়েছে যে এই ফান্ডগুলি জনপ্রিয় করা যায়নি। বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডে সাধারণত সবচেয়ে কম এসআইপির পরিমাণ 500 টাকা। এর বাইরে SEBI একটি নতুন সম্পদ শ্রেণি তৈরি করতে চলেছে, যাতে উচ্চ ঝুঁকির বিনিয়োগকারীরা এখানে সুযোগ পাবেন।

SIP বিনিয়োগ নভেম্বরে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বলছে, SIP এর মাধ্যমে বিনিয়োগ 2023 সালের নভেম্বরে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রথমবারের মতো SIP এর মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে 17,000 কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের এই পদ্ধতি পছন্দ করছেন। নভেম্বরে 14.1 লক্ষ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার কারণে, SIP অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়ে 7.44 কোটি হয়েছে, যা একটি ঐতিহাসিকভাবে উচ্চ স্তর।

গরম বাজারেও ‘ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি’ যে সব শেয়ার, জাগলেই ঘটতে পারে বিস্ফোরণ

বিগত কয়েক মাস মন্দা দশা চললেও বছরের শেষ লগ্নে এসে যেন ঘুরতে থাকে খেলা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই হু হু করে বাড়ছে একাধিক নামজাদা স্টকের দাম। সর্বকালের সেরা উচ্চতায় পৌঁছে যেতে দেখা যায় সেনসেক্স-নিফটিকে। শুক্রবার ট্রেডিং শেষে দেখা যায় BSE সেনসেক্স ৩০৪ পয়েন্টের বিশাল লাফ দিয়ে ৬৯ হাজার ৮২৫ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে।
বেড়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জও। নিফটি ৬৯ পয়েন্টের লাফ দিয়ে ২০ হাজার ৯৭০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখনও বাজারে এমন কিছু স্টক আছে যেগুলি কার্যত সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো পড়ে রয়েছে। আগুনে ঘি পড়লেই সেগুলিও বাড়তে পারে হু হু করে। এখন শুধু অপেক্ষা ঘুমন্ত অবস্থা থেকে জেগে ওঠার।

ইনফোসিস
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই অন্যান্য দেশের মতো ভারতের বাজারেও বেড়েছে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম। তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে ইনফোসিস (Infosys), উইপ্রোর মতো শেয়ারগুলি। শুক্রবার ইনফোসিসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৫ টাকার বেশি। নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ১৪৯১ টাকা। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, শেয়ার বাজারে যেভাবে ঊর্ধগতি দেখা যাচ্ছে তাতে এই শেয়ারের দাম আরও বাড়তো । কিন্তু আমেরিকার মন্দা দশার প্রভাব পড়েছে শেয়ারের দামে। ভারতে ব্যবসা করলেও মূল ব্যবসা মার্কিন মুলুকেও। কিন্তু সে দেশের ফেডারেল ব্যাঙ্ক এখনও কমায়নি ইন্টারেস্ট রেট। উল্টে আরও বাড়িয়ে চলেছে। ফলে ব্যবসার অনুকূল পরিস্থিতি কিছুটা হলেও বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

উইপ্রো
অন্যদিকে খানিকটা একই অবস্থা উইপ্রোর (Wipro) শেয়ারের। ইউরোপ কেন্দ্রীয় এই সংস্থার ব্যবসা রয়েছে বহু দেশে। কিন্তু, বর্তমানে এই শেয়ারের দামে বিগত কয়েক মাসে খুব একটা ঊর্ধ্বগতি দেখতে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় দেখা যায় দাম বেড়েছে মাত্র ৫ টাকার মতো। নতুন দাম দাড়িয়েছে ৪২৪ টাকা। এই শেয়ারের দাম আরও বাড়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন কেউ কেউ। কিন্তু, ইউরোপের অর্থনীতির খারাপ অবস্থাই এর জন্য দায়ী বলে মনে করে করা হচ্ছে।

এশিয়ান পেইন্টস
বছরের বেশিরভাগ সময় যে শেয়ারের দাম উপরের দিকে থাকতে দেখা যায় তাই বর্তমানে নীচের দিকে। শুক্রবার বাজার বন্ধের দিন দেখা যায় এশিয়ান পেইন্টসের (Asian Paints) শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২২৯ টাকা। দাম কমেছে ২২ টাকার বেশি। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে উইপ্রো, ইনফোসিসের মতো এই সংস্থার শেয়ারের দামও অনেকটা বাড়তে পারে।

পরিচিতদের সাথে এটি শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব
শেয়ার বাজার সংক্রান্ত নিয়মিত তথ্য পেতে আপনার ই-মেলটি আমাদের সাথে তালিকাভুক্ত করুন

You cannot copy content of this page